Friday, July 8, 2011

Hajj 2011

This post is dedicated to gather all  the information regarding hajj especially for Bangladeshis who are willing to go in the year 2011.
জনৈক বাংলাদেশী বর্তমানে রিয়াদে থাকেন চমতকার করে লিখেছে দরকারী কিছু কথা নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে- লেখাটি এখানে তুলে দিচ্ছি। (মূল লেখাটির লিঙ্ক নিচে দেওয়া আছে।)

পবিত্র হজ্ব পালনেচ্ছুকগণ: জেনে নিন-১

এরই মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় অনেকেই পবিত্র হজ্বব্রত পালনের নিয়ত করে বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন অথবা করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে আগত অধিকাংশ হাজি নানা ভোগান্তি ও কষ্টের মধ্য দিয়ে একসময় জেদ্দা এয়ারপোর্টে এসে পড়েন। হজ্ব ফ্লাইটের অব্যবস্থাপনা ও ফ্লাইট স্বল্পতার কারণে অপেক্ষমাণ হাজিদের দুর্গতির সীমা থাকে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
আমাদের দেশে হজ্ব পালনেচ্ছুকদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি বয়স্ক আর দুর্বলদেহী মানুষের সংখ্যাই বেশি। আমি একমাত্র ভারত,পাকিস্তান আর বাংলাদেশীদের নানান দুরাবস্থায় পড়তে দেখেছি ; বিশেষ করে যারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ,যারা ইনস্যুলিন নির্ভর, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, হাড় ক্ষয় এবং অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছেন তাঁরাও আসছেন। যারা পরিশ্রমী নন অথবা কায়িক শ্রমে যথেষ্ট অভ্যস্ত নন তাঁরা কিন্তু বিপদে পড়ে যাবেন – এ কথা বলাই বাহুল্য।
প্রথমেই দেখে নিন আপনাকে হজ্ব-ভিসার (সৌদি আরবের মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত) মূল কপি দেয়া হয়েছে কী না। লেমিনেটিং করে তা গলায় ঝুলিয়ে নেবেন। এ ছাড়াও আপনাকে বেশ কিছু ডিজিটযুক্ত একটি হ্যান্ড-ব্যান্ড দেয়া হবে (আপনার আইডি’র কম্পিউটার কোড) ; সেটি হাতে পরে নিন। গলায় সব সময় ঝুলিয়ে রাখার মতো একটি ট্রাভেল-ব্যাগ নিতে ভুলবেন না।
মক্কা ও মদিনার যে কোনো হোটেলেই থাকুন না কেন, আপনার আয়োজক, মোয়াল্লেম এর বিজনেস কার্ড / মোবাইল নাম্বার সাথে রাখবেন। তাঁরা দূরে গেলে বা হারিয়ে গেলেও সহায়তার প্রয়োজনে আপনি তাদের কাছে সমস্যা জানাতে পারবেন। ফলে তারা আপনাকে যথাযথ দিকনির্দেশনা দিতে ও দরকারি সহযোগিতা করতে পারবেন।
মক্কায় পৌঁছেই আপনি ধাক্কা খাবেন। কেন না চুক্তি মোতাবেক হয়তো তাঁরা আপনাকে হারাম শরীফের ৫০০ মিটারের মধ্যে আবাসিক হোটেল দেবে বলেছিল, আপনি পেলেন ২ কিলোমিটার দূরে! অতএব পদব্রজ! অথবা দূরে কোথাও(অধিকাংশ হাজিদের আজিজিয়া নামক স্থানে থাকতে হবে); আপনাকে আসতে যেতে হবে হোটেলগুলোর নিজস্ব পরিবহন কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবস্থায়।
বাংলাদেশীদের (সরকারি কিংবা বেসরকারি, যে প্যাকেজই হোক না কেন) রাখবে নিম্নশ্রেণীর হোটেলে গাদাগাদি করে। ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত আপনার জন্য যে খাবার দেয়া হবে তা দেখে আবারও আপনি ভিরমি খাবেন! খাবার অযোগ্য বার্মিজ রুই মাছ, বিশ্ববিদ্যালয় হল ক্যান্টিন-মার্কা ডাল কিংবা ফার্ম চিকেন। মুখে দিতে পারবেন না। এটি কিন্তু গ্যারান্টেড!
এ সময় চাই অফুরন্ত প্রাণশক্তি আর উদ্দাম। অতএব প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন, এই দীর্ঘ সময় আপনাকে হয়তো আধপেটা থাকতে হবে অথবা বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে অ্যারাবিয়ান ফুড কিনতে হবে। আপনাকে আয়োজকরা বোঝাবে, খেতে আসেননি ; এসেছেন আখেরাতের ফায়দা হাসিল করতে!
পটে যান, চুপ থাকেন, সেটিই বোধহয় বেটার।

এ বছর পবিত্র হজ্ব ব্রত পালনে ইচছুক: জেনে নিন-২

হোটেল থেকে বেরুবার আগে পবিত্র হয়ে নিন,অজু সেরে নিন ;যদিও পুরো মক্কাশরিফ জুড়ে অসংখ্য টয়লেট রয়েছে,মাটির নিচে কিংবা ওপরে খুঁজে পেতে কিছু সময়ের অপচয় তো হবেই! হজ্বের সময় যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রচুর হাঁটার জন্য প্রস্তুতি রাখুন, সেই সাথে কয়েক জোড়া আরামদায়ক স্লিপার সাথে রাখুন। যদি হারিয়ে যান (হারাবেন তো অবশ্যই),সর্বত্রই খুঁজে পাবেন ‘হজ্জ সহায়তা বুথ’। তারা আপনাকে হোটেল, তাঁবু, জমারাত, মসজিদ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
হজ্ব ও ওমরাহের সময় যদি কোনও জিনিস কোথাও ফেলে যান, ওটা কিন্তু আর খুঁজবেন না। বরং আপনার জিনিসপত্র লাগেজ বক্স এ ভালোভাবে রাখুন। নিজের অর্থকড়ি ঠিকমতো রাখা অথবা মানুষের সাথে লেনদেনের বেলায় সাবধান হোন। পকেটমার হতে পারে যে কোনও সময়।(বাংলাদেশী,পাকিস্তানীরা ছাড়াও আফ্রিকান কেলো গুলু থেকে দুরে থাকবেন।) ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও জিনিসপত্র রক্ষায় নিজেই সচেতন থাকুন। হারাম শরীফে(কাবা’য়) প্রবেশের সময় নিরাপত্তা পুলিশ দ্বারা তল্লাশির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।কোন পুলিশ ও অফিসারদের সাথে অযথা তর্কবিতর্কে জড়াবেন না। ক্যাম্পে (মিনায়) অবস্থানের অনুমতিপত্র সাথে রাখুন।
ধারনা করা হচ্ছে আরাফাত ময়দানে এ বছরও প্রচণ্ড গরম থাকবে তাই প্রচুর পানি বা প্রচুর তরল পানীয় পান করুন। সবসময় নিজের সাথে পানি রাখুন। এনার্জি ড্রিঙ্ক, নানা রঙ বে-রঙের পানীয় ও শক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ইয়োগার্ট, দুধ ফল এবং ফলের রস শরীরে দ্রুত ও দরকারি পুষ্টি যোগায়। এসব বেশি বেশি খাবেন।
নিশ্চিত থাকবেন যে প্রত্যেকটি আহ্কাম পালনে আপনি সঠিক জায়গায় অবস্থান করছেন। আরাফাত থেকে মুযদালিফায় ফিরে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করতে হয় ; অনেকে আরাফাতের সীমানায় থেকে যান। এটি মনে রাখা খুবই জরুরি। হজ্বের আহ্কাম ভুল করা যাবে না। আবার অনেকে আগেভাগে মিনা’য় চলে যান তাদের তাবুতে ; এ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দুর্বল, বয়স্ক ছাড়া কারও মিনায় অবস্হান করা ঠিক নয়।
মনে রাখবেন যুলহজ্জ্ব এর ৮ তারিখ আপনাকে অবশ্যই মিনায় রাত কাটাতে হবে। ৯ তারিখ মাগরেব পর্যন্ত আরাফাত ময়দানে। চেষ্টা করবেন মসজিদে নীমেরা’র কাছাকাছি অবস্হান করে খুতবাহ্ শুনতে।
মাগরেব এর পর আরাফাত এর সীমানা পেরিয়ে মুযদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।
১০ তারিখ জমারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করার পর মাথা মুণ্ডন করতে পারেন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র সৌদি সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত ক্ষৌরকারদের কাছে কাজটি করাবেন। আশপাশে অনেক পাকিস্তানি কিংবা মিশরীয় ক্ষৌরকার তুলনামূলক সস্তায় কাজটি করবে। কিন্তু যেহেতু তারা ডিজপোসেবল ক্ষুর-কাঁচি ব্যবহার করে না তাই নানান সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
আপনার ভাগ্য সহায়তা করলে মিনায় জমারাতের ১/২ কিলোমিটারের মধ্যে তাঁবু পেয়ে যেতে পারেন।(বেসরকারি হজ্ব আয়োজনকারী সংস্থাগুলো নিজেদের মুনাফার কথা-ই বেশী ভাবেন। মিনায় তাঁবু জমারাতের যত নিকটে হবে তার ভাড়াও তত বেশী,ধরে নিন আপনাকে তারা সেবা দানের জন্য চ্যারিটি খোলেননি)আমি ২০০৬ এ বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ব্যবস্হাপনায় হজ্বে এসেছিলাম। তখন দেখেছি বাংলাদেশীদের তাঁবু মিনার একেবারে শেষ মাথায়।ধরে নিন পায়ে হেঁটে আপনাকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
সঙ্গে ছাতা রাখবেন(ছাতা পেয়েও যাবেন বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানী বিনামূল্যে ছাতা বিতরন করে থাকে), বিশেষ করে রেমী (শয়তান কে কঙ্কর মারা) করার সময়। মহিলা, শিশু, দুর্বল, অসুস্থ এবং বৃদ্ধ লোকদের জন্য রেমী করতে যাওয়া উচিত নয়। যে কোন সক্ষম লোক অন্যের(প্রতিনিধি)হয়ে রেমী করতে পারেন। যদি আপনার কিছু পড়ে যায় বা আপনার স্লিপার হারিয়ে যায় তবে নিচু হয়ে তুলতে যাবেন না। আপনি দ্রুত পদদলিত হয়ে যেতে পারেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অতীতে অধিকাংশ মৃত্যুই রেমী করার সময় ঘটেছে। যদিও জমারাত বিশাল বড় করা হয়েছে। আগের মতো মৃত্যুর ঝুঁকি থাকছে না ; তবুও সাবধান থাকবেন। দূর থেকে আপনি জমারাতে পাথর মারতে চেষ্টা করবেন না। এতে অন্য হাজির গায়ে সে পাথর লাগতে পারে।
(হাজিদের যাতায়াতের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যে মক্কা,মিনা,মুযদালিফা,আরাফাত এ বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্হা থাকছে এবছর,যদিও জিসিসি দেশের হজ্ব যাত্রী এবং সৌদি নাগরিকরা-ই শুধু এতে চলাফেরার সুযোগ পাবেন,ধারনা করা হচ্ছে এতে করে যানজট অনেক কমে যাবে।)
আইয়ামে তাশরিক এর দিনগুলোতে অনেকে কঙ্কর নিক্ষেপ করার পর বেশি বেশি ছওয়াব এর আশায় মক্কা শরিফে চলে যান, সেখানে নামাজ আদায় করেন। মনে রাখবেন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন মিনায় এসে আপনাকে রাত কাটাতে হবে।
এ বছর কোরবানির জন্য ৪১০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। পশু কোরবানি দেয়া অনেক পরিশ্রমের কাজ। তাই কোরবানির টাকা ব্যাংক এ জমা করুন। অবশ্য আপনার মোয়াল্লেমগণ আপনাদের নির্ধারিত টাকা জমা নেবে, পশু জবাই করবে এবং আপনাদের মিনায় তা খাওয়াবে। এবং কোরবানির দিন থেকে আপনার খাবারের মেনুতে গরু/খাসি যোগ হবে।
যাদের ডায়াবেটিক আছে তাঁরা শাক-সবজীর কথা ভুলে যাবেন এটাও গ্যারান্টেড!
সাইফ ভুইয়া (বিডিনিউজ24) অথবা

banglatimes24.com এর সূত্রে-

হজ্ব যাত্রীদের ফি জমাদানের শেষ সময় ৭ জুলাই

আগামী ৭ জুলাই হজ্ব যাত্রীদের ফি জমাদানের শেষ সময় ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে হজ নিয়ে আন্ত:মন্ত্রনালয় সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
চলতি বছর ব্যালটি হ্জ যাত্রীদের ফি প্রায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ধার্য় করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৭ জুলাই এর পর কোন ফি গ্রহন করা হবে না। কারণ এরপরে ফি জমা নিলে হজযাত্রীর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিমান মন্ত্রী জানান, হজযাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ বিমানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে তবে হজযাত্রীদের বিমানের ভাড়া যা নির্ধারন করা হয়েছে তাই থাকবে। ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার নিচে কোন বেসরকারী হজ এজেন্সি হজযাত্রী নিয়ে যেতে পারবেন না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হজ এজেন্সীগুলো যেন অল্প অর্থ অফার করে মানহীন উপায়ে হাজী রা নিয়ে যায় তাই এ সিদ্ধান্ত। এ বছর মোট ১ লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এবার হজযাত্রীদের ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর এবং হাজীদের নিয়ে ফ্লাইট দেশে ফেরা শুরু করবে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
Hajj Date :( & some other info can be found in Hajj Official Website)
First day of arrival in the Kingdom for pilgrims is  (29th September, 2011).
Last date for arrival of pilgrims  is 31st October, 2011.
Last date for pilgrims to travel from Jeddah to Madinah by bus is (23rd October, 2011)
Last date for pilgrims to travel from Madinah to Makkah by bus (before Hajj) is (1st November, 2011)
Final date for departure (return trip) (10th December, 2011)
2 Informative sites for Hotels(Residence) in Makka:
>> hotelscombined.com
>> southtravels

No comments:

Post a Comment